বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

অনুচ্ছেদঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

 বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর মধ্য দিয়েই বহু বছর ধরে চলা বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন পূর্ণতা পায়। অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ । মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি সৃষ্টি হয়েছিল সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই। ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল তখন। পাকিস্তানের পূর্ব অংশে ছিল বাংলাভাষী মানুষের অবস্থান। শুরু থেকেই এই অংশের মানুষকে পরাধীন করে রাখে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। কেড়ে নেওয়া হয় তাদের সমস্ত অধিকার। শোষিত, বঞ্চিত বাঙালি তখন অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামে। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির মাঝে স্বাধিকার চেতনার উন্মেষ ঘটে। একে একে আসে ‘৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ‘৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় লাভ করলেও বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে ফুঁসে ওঠে গোটা জাতি । বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। এরপর, পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালিনিধনের নীল নকশা করলে ১৯৭১ সালের ২৫-এ মার্চ মধ্যরাত শেষে, অর্থাৎ ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পরেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে। সেই রাতেই পাকবাহিনী এদেশের ঘুমন্ত, নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণ দলে দলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। এগারোটি সেক্টরে দেশকে বিভক্ত করে শুরু হয় তুমুল লড়াই। পরবর্তী নয় মাস মুক্তিবাহিনী বিপুল পরাক্রমে প্রতিরোধ করে চলে হানাদারদের আগ্রাসন। অবশেষে, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি চূড়ান্ত স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে প্রাণ দিয়েছে ৩০ লক্ষ মানুষ। তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচেয়ে বড়ো প্রেরণার নাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের অধিকার আদায়ে সংঘবদ্ধ করে, আদর্শের পথে হাঁটতে উদ্বুদ্ধ করে। সেই চেতনাকে ধারণ করে সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আমাদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।

See also  অনুচ্ছেদঃ অটিজম সচেতনতা দিবস

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *