জাতীয় জাদুঘর
জাতীয় জাদুঘর

অনুচ্ছেদঃ জাতীয় জাদুঘর

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “জাতীয় জাদুঘর“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

জাতীয় জাদুঘর

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাদুঘর ও সংগ্রহশালা। এটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, নৃ-তাত্ত্বিক, শিল্পকলা ও প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কিত নিদর্শনাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান । ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯১৩ সালে ঢাকা জাদুঘর নামে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর প্রথম কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নলিনীকান্ত ভট্টশালী। বর্তমানে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে ৮.৬৩ জমির ওপর একটি চারতলা ভবনজুড়ে এ জাদুঘরের অবস্থান। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে রয়েছে ৪৪টি। প্রদর্শনী কক্ষ, তিনটি অডিটোরিয়াম, একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার ও দুটি অস্থায়ী প্রদর্শনী কক্ষ। জাতীয় জাদুঘরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো প্রাচীন যুগের হিন্দু-বৌদ্ধ ভাস্কর্য। অলংকরণ ও কারুকার্যে এসব ভাস্কর্য সারা পৃথিবীতে অনন্য। প্রাচীন ও মধ্যযুগের ভবনের গায়ে অলংকরণে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের পোড়ামাটির ফলক, সোনারগাঁর বিখ্যাত ঐতিহ্য মসলিনসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য নিদর্শনের দেখা পাওয়া যায় জাদুঘরে। এছাড়া জাদুঘরটি বিভিন্ন বিভাগে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, গ্রামীণ জীবনের পরিচয়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন নিদর্শন, বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা, বিখ্যাত শিল্পীগণের সৃষ্টিকর্মসহ বিশ্বসভ্যতার পরিচয়বাহী অমূল্য নিদর্শনে সমৃদ্ধ। বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরে নানা ধরনের আয়োজন থাকে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সেমিনার, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ইত্যাদি। নিদর্শনভিত্তিক গবেষণা, বুলেটিন, জার্নাল ও গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে জাদুঘর শিক্ষাবিস্তারে ও ঐতিহ্যচর্চায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সংযোগ স্থাপন করিয়ে দেবে। যেকোনো প্রজন্মের জন্যেই জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে অমূল্য জ্ঞানের ভান্ডার। তাই এ জাদুঘরের উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্যে সংশ্লিষ্ট মহলকে তৎপর থাকতে হবে।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *