আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “মোবাইল ফোন“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
মোবাইল ফোন
বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম অবদান মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় এনেছে দৈবিক পরিবর্তন । মানুষের মাঝে যোগাযোগকে সহজসাধ্য করেছে এটি। মোবাইল ফোন হলো ছোটো আকারের একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। যার মধ্যে শব্দ বা তথ্য গ্রহণ এবং প্রেরণ করার জন্যে ইনপুট ও আউটপুট ইউনিট থাকে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি ছবি দেখা, গান শোনা, ভিডিও দেখা, রেডিও শোনা, ই-মেইল বা ইন্টারনেট ব্যবহার, গেমখেলাসহ নানারকম কাজ করা যায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। বর্তমানে 3G, 4G ও 5G প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে কথা বলার সময় তাদের দেখতেও পাচ্ছে। মোবাইল ফোনের সংযোগের জন্যে প্রয়োজন একটি হ্যান্ডসেট ও একটি সিমকার্ড । এছাড়া সংবাদ আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজন নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা। ড. মার্টিন কুপারকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে সফলভাবে তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কল করতে সক্ষম হন। আমাদের দেশে ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম ‘সিটিসেল’ কোম্পানি মোবাইল ফোন বাজারজাত করে। এরপর সরকার ১৯৯৬ সালে ‘গ্রামীণ ফোন’ ‘একটেল’, ‘সেবা’- এ তিনটি কোম্পানিকে এদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয় । বর্তমানে বেশ কয়েকটি কোম্পানি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মোবাইল ফোন এখন সব বয়সি মানুষের নিত্যসঙ্গী। মোবাইল ফোনের উপকারী অনেক দিক থাকলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। সচেতনতার সাথে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেই, তা আমাদের সমাজের জন্যে কল্যাণকর হবে ।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।