অনুচ্ছেদঃ অতিথি পাখি

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “অতিথি পাখি“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

অতিথি পাখি

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করে অতিথি পাখি। আমাদের এই অতিথিরা সাধারণত শীতকালে আসে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে অতিথি পাখিরা বাংলাদেশে আসে উষ্ণতার খোঁজে। এ সময় অতিথি পাখিদের দেখতে বিভিন্ন স্থানে পর্যটকদের আগমন ঘটে। ফলে প্রাকৃতিক শোভাবর্ধনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ঘটে। এসব পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি অতিথি পাখির সুস্বাদু মাংসের লোভ সংবরণ করতে না পেরে নির্বিচারে হত্যা করে। তারা একদিকে প্রকৃতির ক্ষতি করে অন্যদিকে বাঙালির চিরায়ত আতিথেয়তার গৌরবে কুঠারাঘাত করে। ফলে অতিথি পাখিরা এদেশে আসতে নিরুৎসাহিত হয়। এসব কারণে অতিথি পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অতিথি পাখিকে অতিথির মতোই সাদরে গ্রহণ করা উচিত। এদের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রয়োজন অভয়ারণ্য তৈরি করে দেওয়া। অতিথি পাখি যেন সাম্যের দূত। বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা সেখানে কাঁটাতারের জালে বন্দি, সেখানে অতিথি পাখি সমগ্র বিশ্বে অবাধ বিচরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিশ্বায়নের এই বিভেদপূর্ণ সময়ে অতিথি পাখির এই বার্তা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতিথি পাখি সংরক্ষণে আমাদের বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *