জাতীয় জীবনে সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা দুয়েরই মাত্রা বাড়িয়া গেলে বিনাশের কারণ ঘটে
জাতীয় জীবনে সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা দুয়েরই মাত্রা বাড়িয়া গেলে বিনাশের কারণ ঘটে

ভাবসম্প্রসারণঃ জাতীয় জীবনে সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা দুয়েরই মাত্রা বাড়িয়া গেলে বিনাশের কারণ ঘটে

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ জাতীয় জীবনে সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা দুয়েরই মাত্রা বাড়িয়া গেলে বিনাশের কারণ ঘটে“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

 জাতীয় জীবনে সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা দুয়েরই মাত্রা বাড়িয়া গেলে বিনাশের কারণ ঘটে

মূলভাব: কোনো জাতি যদি তার অর্জনকে চরম প্রাপ্তিরূপে বিবেচনা করে বসে, কিংবা জাতির আকাঙ্ক্ষা যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে উভয় ক্ষেত্রেই সে জাতির ধ্বংস অনিবার্য।

সম্প্রসারিত ভাব : যে কোনো জাতিকে তার প্রাপ্তির জন্যে সন্তোষ প্রকাশ করতে হয়। কারণ সন্তুষ্টি জাতিকে আত্মতৃপ্তি দান করে এবং জাতীয় জীবনে শান্তি আনয়ন করে। কিন্তু সন্তোষের মাত্রা যদি বেড়ে যায়, তা হলে তা ঐ জাতির বিনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ঐ জাতি যদি তার অর্জনকে শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তিরূপে বিবেচনা করে, তাহলে তার ভবিষ্যৎ-সম্ভাবনার দ্বার একেবারেই রুদ্ধ হয়ে যাবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, নব-নব আবিষ্কার এবং সম্পদ ও সমৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতিকে উত্তরোত্তর কল্যাণের পথে অগ্রসর হতে হবে। অতিমাত্রায় তুষ্ট জাতি যখন স্থবির হয়ে বসে থাকবে তখন অন্যান্য জাতি উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণসাধন করে সম্মুখে এগিয়ে যাবে। আর স্থবির তথা তৃপ্ত জাতি একসময় কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে। অন্যদিকে স্বপ্ন বা আকাঙ্ক্ষা যে কোনো জাতির নেপথ্য চালিকাশক্তিরূপে কাজ করে। কারণ আকাঙ্ক্ষাই মানুষকে চেষ্টা ও পরিশ্রমের দ্বারা উন্নতির অভীষ্ট বন্দরে পৌঁছতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা জাতির ধ্বংস ডেকে আনে। কারণ জনগণের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ কোনো জাতির পক্ষেই সম্ভব নয়। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়ে জাতি নিরাশ ও হতোদ্যম হয়ে পড়ে। অন্যদিকে স্বপ্ন-আশান্বিত জাতি পরিকল্পিতভাবে ‘ধীরে চলো নীতি’-এর মাধ্যমে সমৃদ্ধি ও কল্যাণের অভীষ্ট বন্দরে পৌছে যায়। আর উচ্চাকাঙ্ক্ষাসম্পন্ন নিরাশ ও হতোদ্যম জাতি পশ্চাৎপদ জাতিতে পরিণত হয়।

See also  অনুচ্ছেদঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

মন্তব্য : আমাদের সাধ্যাতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা এবং মাত্রাধিক আত্মতৃপ্তি পরিহার করে পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করে সম্মুখে অগ্রসর হবার চেষ্টা করতে হবে ।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *