আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে
মূলভাব: মানুষ ঘর থেকে বেরুলেই পথ চলে । আর চলতে চলতেই তৈরি হয় পথ। এ পথ পথিকেরই সৃষ্টি। পথ কখনো পথিককে সৃষ্টি করতে পারেনি, আর সেটি অকল্পনীয়।
সম্প্রসারিত ভাব: পথিক অর্থাৎ মানুষ তার জীবনচক্রে আপন ক্ষমতা, কর্মদক্ষতা, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে তৈরি করে চলেছে মানব জাতির কল্যাণের নানা পথ। সৃষ্টির উষালগ্ন থেকেই মানুষ মত্ত নানা সৃষ্টিশীল জিনিস তৈরিতে। ভাগ্যান্বেষণে বেরিয়ে মানুষ জয় করেছে দুর্জয় রহস্য। সন্ধানী মানুষ সাধনা ও প্রচেষ্টার দ্বারা সকল বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ করে সামনে এগিয়ে গিয়েছে। সাহসী ও সংগ্রামী মানুষরাই রচনা করেছে নতুন নতুন সম্ভাবনার পথ। তারা এ পৃথিবীর বুকে আজীবন স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবে। তাদের তৈরি পথ বেয়ে এগিয়ে চলছে বর্তমানের সাহসী মানুষ। বর্তমানে নতুন পথ সন্ধানীর তৈরি পথ এগিয়ে গিয়ে সৃষ্টি করছে আরও নতুন নতুন পথের। এ পথ কখনো পথিককে সৃষ্টি করতে পারে না, আবার নিজে নিজে তৈরিও হয় না। পথিকই নিজের ও দশের প্রয়োজনে পথের সন্ধান করে বা তৈরি করে। আবার পথিক নিজের অগ্রযাত্রা যাতে সহজতর হয় সেই দিকে লক্ষ্য রেখে ভিন্ন পথের সৃষ্টি করে । তবে সকল পথই সঠিক ও যথার্থ হয় না। কিন্তু জীবনসন্ধানী ও কৌতূহলী পথিক চেষ্টা চালায় গন্তব্যে পৌছার । না পারলে সেই পথ পরিহার করে অন্য পথের সন্ধান করে। পথ কখনো এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে না। পৃথিবীতে সমস্ত সাফল্যের কৃতিত্ব মানুষের পরিশ্রমের ।
মন্তব্য : দৈবক্রমে কোনো মহৎ সৃষ্টি সম্ভব হয়নি মন্তব্য: কপালগুণে কেউ হঠাৎ করে বিশাল সাফল্য লাভ করে না। মানুষই নিজ কর্মগুণে সাফল্যের পথ তৈরি করে নেয়।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।