আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয় শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়
মূলভাব: পৃথিবীতে মানুষের শারীরিক উপস্থিতি স্বল্পকালীন। এ সময়ের মাঝে কেউ যদি মহৎ অবদান রাখে, সে-ই প্রতিষ্ঠিত হয় মহাকালের ইতিহাসে। অন্যথায় হারিয়ে যায় কালের গর্ভে।
সম্প্রসারিত ভাব : প্রকৃতির নিয়মে মানুষ জন্মগ্রহণ করে। আস্তে আস্তে বড় হয় এবং একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্বল্পকালের এ জীবনে মানুষ যদি কেবল ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাস ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে তবে সে জীবন তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে না। মৃত্যুর পর নিকটাত্মীয়রা কিছুটা সময় তাকে মনে রাখে। তারপর একসময় সে হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতল গহ্বরে। কিন্তু যাঁরা মানবকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্যে মহৎ অবদান রাখেন, তাঁরা হয়ে ওঠেন কীর্তিমান মানুষ। সব যুগে, সব কালে তাঁরা মানুষের কাছে হন স্মরণীয়। তাঁরা তাঁদের কীর্তির মাঝে বেঁচে থাকেন অনন্তকাল। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার কিংবা রবীন্দ্রনাথ । ভিঞ্চির আঁকা ছবি, শেকপিয়ারের নাটক কিংবা রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম তাঁদের অমর করে রেখেছে। মৃত্যুর শত শত বছর পরও আমরা সেই কীর্তির কারণে তাদের কথা স্মরণ করি । তাঁদের এই অমরত্ব মানুষকে শিক্ষা দেয় যে, কেবল কর্মই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। জানিয়ে দেয় নিছক পার্থিব জীবনের স্মৃতি নয়, মানব জীবনে কীর্তিই অবিনশ্বর।
মন্তব্য : স্বীয় কীর্তির মাধ্যমে মানব হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান পাবার মধ্যেই নিহিত রয়েছে জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। দৈহিক জীবন এ পথের নশ্বর উপাদান মাত্র।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।