আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “নারীশিক্ষা“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
নারীশিক্ষা
একটি জাতির উন্নতির প্রধান শর্ত হলো জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। শিক্ষা ছাড়া একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা আশা করা যায় না। মনুষ্যত্বের বিকাশের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। আর মা হলো সন্তানের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক। তাই জাতিকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হলে নারীশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ সত্যটি অনুধাবন করতে পেরেই নেপোলিয়ন বলেছিলেন— আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি দেব। নেপোলিয়নের এ চিরস্মরণীয় বাণীর উপযোগিতা আজ অনেক বেশি। কেননা আজও বিশ্বের নানা দেশে লক্ষ লক্ষ নারী শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত। ফলে সর্বত্রই তারা অধিকারবঞ্চিত হচ্ছে। নিগৃহীত হচ্ছে অথচ মানবসমাজের অর্ধেকই হলো নারী। এ বিপুল জনগোষ্ঠী অশিক্ষার অন্ধকারে থাকায় জাতি পিছিয়ে পড়ছে, জনগোষ্ঠীর এ বিরাট অংশকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে না পারলে কখনো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার অর্থাৎ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবশ্যই নারীদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকতে হবে। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, উন্নয়নের প্রধান উপকরণসমূহের একটি হলো নারীশিক্ষা। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীশিক্ষার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালেও আমরা দেখতে পাব যে, সেখানে নারীশিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বস্তরে তাদের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে হবে। নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা উন্নত জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।