আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “লোকশিল্প“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
লোকশিল্প
লোকশিল্প এক সময় কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের গৌরবের বিষয় ছিল। প্রাচীন আমলে যখন কলকারখানা ছিল না তখন কুটিরশিল্পই আমাদের যাবতীয় প্রয়োজন মেটাতো। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসের জন্যেই মানুষ কুটিরশিল্পের ওপর নির্ভরশীল ছিল। মানুষ নিজ প্রচেষ্টায় হাতেই এসব জিনিস তৈরি করত। প্রাচীনকালে এ দেশের লোকশিল্প বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করেছিল। যার অন্যতম নিদর্শন ঢাকাই মসলিন শাড়ি। কিন্তু কালক্রমে এ ঐতিহ্য আজ বিলুপ্ত। এ দেশের উল্লেখযোগ্য লোকশিল্পের মধ্যে রয়েছে তাঁতবস্ত্র, কাঠের তৈরি শিল্প ও কৃষিসামগ্রী, মৃৎশিল্পসহ হাতে তৈরি হরেক রকমের শিল্পদ্রব্য। এ শিল্পের সবচেয়ে বড়ো লক্ষণীয় দিক হলো এগুলো ভারী যন্ত্রপাতি ছাড়াই দেশীয় প্রযুক্তিতে ঘরে বসে তৈরি করা যায়। এ শিল্পে কারিগরদের শিল্পীমনের পরিচয় পাওয়া যায়। আগে আমাদের দেশে যেসব লোকশিল্পের পরিচয় পাওয়া যায় তার অনেকগুলোই ছিল খুবই উচ্চমানের। ঢাকাই মসলিন অধুনা বিলুপ্ত হলেও ঢাকাই জামদানি অনেকাংশে তার স্থান ধরে রেখেছে। নকশিকাঁথা একটি উঁচু মানের গ্রামীণ লোকশিল্প । কালের আবহে তা আজ লুপ্তপ্রায় হলেও এর কিছু নমুনা এখনো পাওয়া যায়। আপন পরিবেশ থেকেই গ্রামের মেয়েরা এ কাঁথা তৈরির উদ্দীপনা পেত। মৃৎশিল্প এ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন লোকশিল্প । প্রাচীনকালে মৃৎশিল্পীরা এ শিল্পে দারুণ দক্ষ ছিলেন। প্রাচীন বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যবহৃত টেরাকোটাসহ নানা তৈজসপত্র ও প্রতিমা নির্মাণ আমাদের এখনো অবাক করে দেয়। তাঁতিদের তৈরি কাপড়-গামছা, কামারদের তৈরি দা-বঁটি, কাঁসার তৈজসপত্র, বাঁশ-বেত ও কাঠের কারুকাজ ইত্যাদি সবই আমাদের লোকশিল্পের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে । আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মেশিনে তৈরি সস্তা পণ্যের চাপে এ শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে। তবুও আশার কথা এই যে, এ দেশের লোকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বর্তমানে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। আমাদেরও উচিত এ শিল্পের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এগিয়ে আসা। কেননা আমাদের লোকশিল্প সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদেরই। এ শিল্পের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারি
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।