বর্ষাকাল
| |

অনুচ্ছেদঃ বর্ষাকাল

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “বর্ষাকাল“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

বর্ষাকাল

বর্ষাকাল বাংলাদেশের ঋতুপরিক্রমায় দ্বিতীয় ঋতু। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস মিলে হয় বর্ষাকাল । গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপে প্রকৃতি যখন রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে, তখন বর্ষা নিয়ে আসে সজীবতা। বর্ষাকালে প্রকৃতি নতুন করে সাজে। গাছে গাছে কদমের ফুল শোভা পায়। বৃষ্টির জলে ধুয়ে গাছের পাতা হয়ে ওঠে সবুজ ও সজীব। এ সময় অবিরাম বাদল ধারায় মাঠ-ঘাট, খাল-বিল সব পানিতে থইথই করে। সারাদিন কখনো ইলশেগুঁড়ি আবার কখনো বা মুষলধারে বৃষ্টি হয়। তখন ছাতা ছাড়া বাইরে বের হওয়া যায় না। গ্রামের মা-বোনেরা ঘরে বসে নকশিকাঁথা সেলাই করে। বর্ষাকাল জেলেদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এ সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। কৃষকেরা জমিতে শাকসবজি চাষ করায় বাজারে প্রচুর শাকসবজি পাওয়া যায়। বর্ষায় অতিবৃষ্টির কারণে কখনো কখনো বন্যা দেখা দেয়। তখন সাধারণ মানুষের কোনো কাজ থাকে না । ফলে তারা বাড়িতে বসে থাকে। সার্বিক বিচারে বর্ষাকালের উপকার ও অপকার দুটি দিকই আছে।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *