বিজয় দিবস
বিজয় দিবস

অনুচ্ছেদঃ বিজয় দিবস

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “বিজয় দিবস“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

বিজয় দিবস

বিজয় দিবস বাঙালির জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের ২৫-এ মার্চ মধ্যরাতের পর, অর্থাৎ ২৬-এ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বহু বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ নামক একটি দেশ। এদিন শত্রুদের বিদায়ঘণ্টা বেজে যায়, হাসি ফোটে দুঃখী বাঙালির মুখে। স্বাধীনতার জন্য বাঙালিদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। দেশের পথে-প্রান্তরে ঝরেছে অনেক রক্ত। দেশবিভাগের পর (১৯৪৭) পাকিস্তান নামে স্বাধীনরাষ্ট্র হলেও বাঙালিরা সবসময় পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা নিপীড়িত, নিষ্পেষিত হয়েছে। অধিকারবঞ্চিত বাঙালি শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে বার বার। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি হানাদাররা হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাটের মাধ্যমে বাঙালিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মুক্তিবাহিনী বিপুল বিক্রমে তাদের বর্বর অত্যাচার রুখে দেয়। একে একে শত্রুমুক্ত হতে থাকে বিভিন্ন অঞ্চল। শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়; আমরা লাভ করি চূড়ান্ত বিজয়। ১৬ই ডিসেম্বরে তাই আমরা বিজয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠি। এটি আমাদের অন্যতম জাতীয় দিবস। সমগ্র জাতির আবেগের সাথে দিনটির রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সর্বস্তরের জনতা বিজয় দিবসে ঘরের বাইরে নেমে আসে। জাতীয়ভাবে দিবসটি উদযাপনের জন্যে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়। শহর-গ্রাম-বন্দর ভরে যায় লাল- সবুজের পতাকায়, মুখর হয় মুক্তির চেতনার অমর সব গানে। শোষণমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ গঠনে বিজয় দিবস আমাদের প্রেরণা জোগায় । সেই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে আমাদের এ দেশকে গড়ে তুলতে হবে।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *