আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

অনুচ্ছেদঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালির জাতীয় জীবনে এক মহান তাৎপর্যবাহী দিন। দিবসটি আমাদের পূর্বপুরুষদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বাংলার ছাত্র-জনতা। সমগ্র বাংলা জুড়ে গড়ে ওঠে গণ-আন্দোলন। ১৯৫২ সালে এ আন্দোলন তীব্ররূপ লাভ করে। ওই বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ছাত্ররা ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় । পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাতে বাধা দেওয়ার জন্যে ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্র-জনতা তা উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে শহিদ হন সালাম, বরকত, রফিক, শফিকসহ অনেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বেড়ে গেলে সামরিক সরকার বাংলাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে ছাত্র-জনতার সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করে আমরা পালন করি মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো জাতি ভাষার জন্যে এভাবে রক্ত ঝরায়নি। এ বিষয়টি জাতিসংঘ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর। ২০০০ সাল থেকে ২১-এ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এ দিবসে সবাই নিজ নিজ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। সেই সাথে শ্রদ্ধা জানানো হয় এদেশের অকুতোভয় সেই ভাষাশহিদদের রক্তাক্ত স্মৃতির উদ্দেশে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আমাদের মনে দেশ ও ভাষার প্রতি মমতাকে উজ্জীবিত করে, একুশের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

See also  অনুচ্ছেদঃ ছাত্রজীবন

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *