বায়ুদূষণ
| |

অনুচ্ছেদঃ বায়ুদূষণ

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “বায়ুদূষণ“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

বায়ুদূষণ

প্রতিনিয়তই নানাভাবে আমাদের চারপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বায়ুদূষণ তার মধ্যে অন্যতম। বায়ু প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আমাদের জীবনধারণের জন্যে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনও মিশ্রিত থাকে বায়ুতে। অথচ আমাদের অসচেতনতার দরুন নানা উপায়ে দূষিত হচ্ছে প্রকৃতির এ উপাদানটি। বায়ুদূষণের মূল কারণ হলো অধিক মাত্রায় জ্বালানি পোড়ানো। মানুষ এই সভ্যতাকে সাজিয়ে তোলার জন্যে আবিষ্কার করেছে যানবাহন, কলকারখানা। এগুলোকে সচল রাখতে প্রতিদিন পোড়াতে হচ্ছে কয়লা, জ্বালানি তেল ইত্যাদি। এর ফলে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, সালফার, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি মিশে যাচ্ছে বাতাসে। বিষাক্ত এ রাসায়নিক দ্রব্যসমূহ বাতাসকে দূষিত করছে মারাত্মকভাবে। এছাড়াও যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, মলমূত্র ত্যাগ ইত্যাদির কারণেও বায়ুদূষণের ঘটনা ঘটছে। আমাদের সামগ্রিক পরিবেশের ওপর বায়ুদূষণ মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসমূহ বায়ুতে মিশে যাওয়ায় এসিড বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, ফুসফুস ক্যান্সার ইত্যাদি বায়ুবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে, কমছে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ভাগ। এটি জীবজগতের জন্যে নিঃসন্দেহে হুমকিস্বরূপ। বায়ুদূষণের প্রভাবে বদলে যাচ্ছে জলবায়ুর স্বাভাবিক পরিস্থিতি, যা সমগ্র পরিবেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বায়ুদূষণকে ন্যূনতম মাত্রায় কমিয়ে আনতে আমাদের সকলেরই ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি ব্যবহারে আমাদের সংযমী হওয়া প্রয়োজন। ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। পরিবেশের বন্ধু গাছপালা । তাই ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি বৃক্ষনিধন বন্ধ করতে হবে । এভাবেই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দূষণমুক্ত বায়ুতে বুকভরে শ্বাস নিতে পারব আমরা।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

See also  অনুচ্ছেদঃ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *