পরিবেশ দূষণ
পরিবেশ দূষণ

অনুচ্ছেদঃ পরিবেশ দূষণ

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “পরিবেশ দূষণ“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

পরিবেশ দূষণ

আদিমকালে মানুষ একান্তভাবেই পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু সভ্যতার ক্রমবর্ধমানতার সাথে সাথে মানুষ প্রকৃতিকে নিজের বশে আনতে শুরু করে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা আবিষ্কার মানুষকে দিয়েছে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য। কিন্তু আবিষ্কৃত প্রযুক্তির অপব্যবহার দিন দিন পরিবেশকে দূষিত করে তুলেছে। পরিবেশ হলো আমাদের চারপাশের প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উপাদানের সমষ্টি। পানি, মাটি, বায়ু ইত্যাদি প্রাকৃতিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাকৃতিক বা মানব-সৃষ্ট কোনো কারণে যদি পরিবেশের উপাদানগুলোর কাঙ্ক্ষিত মান বিনষ্ট হয় তাহলে পরিবেশ মানুষ বা প্রাণীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। পরিবেশের এই অস্বাস্থ্যকর অবস্থাকে পরিবেশ দূষণ বলে। পরিবেশ দূষণের প্রাকৃতিক কারণগুলো হলো— ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, অগ্নুৎপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদি। আর কৃত্রিম বা মানুষসৃষ্ট কারণগুলো হলো— জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্পকারখানায় বিষাক্ত কেমিক্যালের ব্যবহার, শিল্পকারখানা ও যানবাহনে জীব- জ্বালানির ব্যবহার ইত্যাদি। এসব কারণে পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানি, মাটি, বায়ু ইত্যাদি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া কীটনাশক, গুঁড়ো সাবান, প্লাস্টিকের ব্যবহার ইত্যাদির ফলেও পরিবেশ দূষিত হয়। শিল্পকারখানা ও যানবাহন থেকে নির্গত সালফার ডাইঅক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, ক্লোরো-ফ্লোরো কার্বন ইত্যম বায়ুমণ্ডলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। পরিবেশ দূষণের ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে বিশ্বের সচেতন মানুষ আজ শঙ্কিত। কেনন পরিবেশ দূষণের কারণে মানব সভ্যতার অস্তিত্বই হুমকির সন্মুখীন। তাই পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের সচেতন মানুষ উঠেছে; গড়ে উঠছে অনেক পরিবেশবাদী সংগঠন। এসব সংগঠনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিবেশ দূষণ রোধে করণীয় ঠিক করতে পরিবেশবিষয়ক নানা সন্মেলনে একত্রিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানেও পরিবেশ-সংরক্ষণ সংক্রান্ত ধারা যুক্ত হয়েছে। তবে সর্বস্তরের মানুষকে পরিবেশ সম্পে সচেতন করা ব্যতীত পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব নয় ।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ সঙ্গদোষে লোহা ভাসে 

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *