আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “শ্রমের মূল্য“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
শ্রমের মূল্য
মানুষের সমস্ত সম্পদ এবং মানব সভ্যতার ভিত্তি রচনাকারী শক্তির নাম শ্রম। শ্রমের কল্যাণেই মানুষ নিজেকে জীবজগতের অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে আলাদা করেছে। মানবজীবনে সাফল্যের জন্যে শ্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। গ্রামের মাধ্যমে সভ্যতা বিনির্মাণের পাশাপাশি মানুষ নিজের ভাগ্যকেও গড়ে নেয়। প্রতিটি মানুষের মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। পরিশ্রমের মাধ্যমেই কেবল সেই সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে রূপ লাভ করতে পারে। অন্যদিকে, পরিশ্রম না করলে সেগুলো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায় । শ্রমজীবী মানুষ তাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়। সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে যত্নবান হয়। শ্রমের মূল্য বোঝে বলে তারা সকল শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় । কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা নিজের জীবন ও চারপাশের পরিবেশকে সাজিয়ে তোলে। ফলে শ্রমশীল মানুষের জীবন হয় সার্থক। অপর পক্ষে শ্রমবিমুখ মানুষেরা আলস্যে সময় নষ্ট করে। নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্যে অপরের মুখাপেক্ষী হয়। তাই সাফল্য তাদের ভাগ্যে ধরা দেয় না। সাধারণ মানুষের কাছেও তাদের কোনো মূল্য থাকে না। শ্রম মানুষকে সমৃদ্ধির পথে চালিত করার পাশাপাশি দেয় সৃজনের আনন্দ। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষ মরুভূমিতেও সবুজের বিস্তার ঘটিয়েছে, সমুদ্রের বুকে গড়ছে মনোরম শহর । শ্রমের কল্যাণেই বিশ্বের সব অজানাকে জয় করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের সকল মহৎ ব্যক্তির জীবন শ্রমের সাধনার দৃষ্টান্ত বহন করে। পৃথিবীতে যা কিছু স্মরণীয়, বরণীয় সবকিছুর পেছনেই রয়েছে শ্রমের অবদান। তাই শ্রমেই মানবজীবনের প্রকৃত পরিচয় নিহিত। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার জন্যে সকলকে শ্রমের মূল্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।