জাতীয় পতাকা
| |

অনুচ্ছেদঃ জাতীয় পতাকা

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “জাতীয় পতাকা“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকা একটি দেশের ঐতিহ্য, মর্যাদা ও গৌরবের প্রতীক। পৃথিবীর প্রতিটি স্বাধীন দেশের একটি জাতীয় পতাকা থাকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশেরও তেমনই একটি নির্দিষ্ট নকশার পতাকা রয়েছে। আমাদের জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজ। এর নকশায় ঘন সবুজ রঙের ওপর লাল রঙের একটি বৃত্ত রয়েছে। পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০ : ৬। লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মূল নকশাকার শিবনারায়ণ দাশ। তবে তাঁর করা নকশায় লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙে আঁকা বাংলাদেশের মানচিত্র স্থান পেয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্র সমাবেশে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে এ পতাকাই উত্তোলিত হয়েছিল। পরবর্তীতে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান মানচিত্রটিকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত নকশাটি করেন। বাংলাদেশের পতাকায় বিদ্যমান রং দুটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । সবুজ রং আমাদের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিকে তুলে ধরে এবং দেশের তারুণ্য ও সজীবতার ইঙ্গিত বহন করে। অন্যদিকে, লাল রং নতুন দিনের সম্ভাবনার প্রতীক উদীয়মান সূর্য ও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের পতাকা বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। এটি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বহন বলে চলেছে। জাতীয় দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। শোক দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। জাতীয় পতাকা আমাদের মাঝে দৃপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। এটি আমাদের অন্যতম গর্বের প্রতীক। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানো এবং এর সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা ধারণ করা প্রতিটি নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *