আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক
মূলভাব: পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বসবাস করার জন্য মানুষ যা কিছু উদ্ভাবন করেছে তার মূলে রয়েছে মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন।
সম্প্রসারিত ভাব : প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ নতুন উদ্যমে নতুনতর আবিষ্কারে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ ধীরে ধীরে পৃথিবীতে তার অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। প্রথম দিকে মানুষের এক রকম প্রয়োজন ছিল, পরে তাদের প্রয়োজনের রকম হলো ভিন্ন। একটা প্রয়োজন মিটলে আরেকটা প্রয়োজন এসে সামনে দাঁড়াল। মানুষ ঐ প্রয়োজন মেটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এভাবে একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে মানুষ তার প্রয়োজনগুলো পূরণের জন্যে নানারকম উদ্ভাবনের দিকে মনোযোগী হয়। সৃষ্টি করে নানারকম উপাদান-উপকরণ । নিজের প্রয়োজন মেটাতেই মানুষ বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার বা উদ্ভাবন করছে। অন্ধকারকে দূর করার তাগিদে মানুষ বিদ্যুৎ উদ্ভাবন করেছে। যাতায়াতের সুষ্ঠু ব্যবস্থার প্রয়োজনে সে রাস্তা ও যানবাহন নির্মাণ করেছে। চিকিৎসার জন্যে হাসপাতাল, বিনোদনের জন্যে চলচ্চিত্র, পার্ক নির্মাণ, দ্রুত যোগাযোগের জন্যে মোবাইল, টেলিফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার, টেলিভিশন ইন্টারনেট আবিষ্কার করেছে। এমনিভাবে যা কিছু আবিষ্কৃত হয়েছে সবই মানুষের প্রয়োজনের তাগিদ থেকে। সে কারণে উদ্ভাবন বা আবিষ্কারের জনক হিসেবে প্রয়োজনকে আখ্যায়িত করা যায়।
মন্তব্য : প্রয়োজনীয়তাই মানুষের উদ্ভাবনীশক্তির জাগরণ ঘটিয়েছে। মানুষ এ শক্তিতেই নিত্য-নতুন উদ্ভাবনে সমর্থ হচ্ছে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।