আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে
মূলভাব: ধনসম্পদ যদি শুধু ভোগ-বিলাসের জন্যে ব্যবহৃত হয়, তবে তা নিছক অপচয়ের শামিল। পক্ষান্তরে ধন মানবকল্যাণে ব্যয় হলে তা সার্থক হয় এবং যথার্থ অর্থে সম্পদের মর্যাদা পায়।
সম্প্রসারিত ভাব : মানবজীবনে ধনসম্পদের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু ধন-সম্পদের প্রকৃত গুরুত্ব নির্ভর করে তার ব্যবহারের প্রকৃতির ওপর। পৃথিবীতে অনেকেই অর্থ-বিত্তের মালিক হন। কিন্তু তাদের অনেকেই বুঝতে পারেন না যে ধন-সম্পদের প্রকৃত তাৎপর্য তার সদ্ব্যবহারের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। আত্মসুখকামীরা তাদের সম্পদ কেবল ভোগ- বিলাসিতার পেছনে ব্যয় করে। এ ধরনের লোকেরা ধনের দিক থেকে বড় হলেও মনের দিক থেকে নিতান্তই দরিদ্র তারা ভুলে যায় প্রায় ক্ষেত্রেই তারা যে সম্পদের অপচয় করছে, তার পেছনে রয়েছে সমাজের দরিদ্র-নিপীড়িত মানুষের শ্রম। যে সমাজে মানুষ অন্ন-বস্ত্রের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরে, সে সমাজে অপব্যয়ের স্রোতে গা ভাসানো অন্যায়। সমাজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ধনীদের সম্পদের অপব্যয় কখনোই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ কিংবা অন্নহীনের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ-সম্পদের প্রকৃত ও যৌক্তিক মূল্যায়ন সম্ভব। ধনসম্পত্তির অপচয় না করে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও উৎপাদনে অবদান রাখলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর সাফল্য আসে।
মন্তব্য : যে সম্পদ দেশ, জাতি ও মানবকল্যাণে ব্যয় হয় সে সম্পদই প্রকৃত অর্থে সম্পদ। বস্তুত অপব্যয় সম্পদের গুরুত্বকে নস্যাৎ করে। সমাজের মানুষের মঙ্গলের মধ্যেই রয়েছে ধনসম্পদের প্রকৃত সার্থকতা ।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।