আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?
মূলভাব: ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির ভেদ চিরকালের। উত্তম চরিত্রের অনুকরণে কেউ উত্তম ব্যক্তিতে পরিণত হতে পারে। তাই বলে অধমের চরিত্র কারও অনুপ্রেরণার আদর্শ হতে পারে না।
সম্প্রসারিত ভাব : সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। বুদ্ধিবৃত্তি মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য হলেও চারিত্রিক-বৈশিষ্ট্য ও মানসিকতার বিচারে সংসারের সব মানুষ অভিন্ন নয়। মানুষের মধ্যে ভালো-মন্দ দুই-ই আছে। এর মধ্যে উত্তম স্বভাবের মানুষই সমাজের আদর্শ। মন্দ স্বভাবের মানুষ অধম শ্রেণির। এরা প্রায়ই স্বার্থান্বেষী হয়। সমাজের মঙ্গল সাধনের চিন্তা কখনো এদের মনে স্থান পায় না। অন্যের অনিষ্ট করতেও এরা কুণ্ঠিত হয় না। অন্যদিকে উত্তম স্বভাবের মানুষেরা হন সৎ, নির্লোভ ও পরোপকারী। সামাজিক কল্যাণ সাধনের পাশাপাশি ব্যক্তিমানুষের কল্যাণের জন্যে তাঁরা নিজেকে বিসর্জন দিতেও পিছপা হন না। একজন উত্তম স্বভাবের ব্যক্তি চিন্তা ও কর্মে সবসময় ন্যায় ও সততাকে লালন করেন। প্রতিটি মানুষেরই উচিত উত্তম চরিত্রের ব্যক্তির অনুকরণ ও অনুসরণ করা । অধম তথা নিকৃষ্ট শ্রেণির মানুষ কর্তৃক প্রভাবিত না হওয়ার জন্যে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। অপরে মন্দ স্বভাবের হতে পারে। অপরে মানুষের অকল্যাণ ও অনিষ্ট করে তৃপ্ত হতে পারে। কিন্তু অপরের ঐ মন্দ স্বভাবকে ধারণ ও লালন করাটা প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচায়ক নয় । বরং নিজেকে সৎ পরোপকারী হিসেবে গড়ে তোলার মধ্যেই প্রকৃত মনুষ্যত্ব নিহিত।
মন্তব্য : প্রবৃত্তির তাড়নায় মানুষ কখনো কখনো মনুষ্যত্বের সীমা অতিক্রম করে চরম পশুত্বের পরিচয় দিতে পারে। তাই প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে সুপথে পরিচালিত করতে হবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।