ফেসবুক
ফেসবুক

অনুচ্ছেদঃ ফেসবুক

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “ফেসবুক“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ওয়েবসাইটের নাম ফেসবুক। এর প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন প্রযুক্তিবিদ মার্ক জুকারবার্গ। ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য তিনি তৈরি করেন ‘ফেসমাস’ নামক ওয়েবসাইটটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এটি ‘ফেসবুক’ নামে যাত্রা শুরু করে। জুকারবার্গ তাঁর আরও তিনজন সহযোগীর সাহায্য নিয়ে ওয়েবসাইটটি প্রতিষ্ঠা করেন। আজকাল সব শ্রেণিপেশার মানুষ পরিচিতজনদের মাঝে অন্তযোগাযোগ রক্ষার জন্যে ব্যবহার করছে এই মাধ্যমটি। ফেসবুকে নিবন্ধন করা যায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এরপর পরিচিতজনদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে নানাভাবে ভাব বিনিময় করতে পারে। এতে সংযোজিত সুবিধাগুলোর অন্যতম হলো লাইক, শেয়ার, চ্যাট, কমেন্ট ইত্যাদি। ব্যক্তিগত ও সামাজিক যোগাযোগের গণ্ডি ছাড়িয়ে ফেসবুক এখন বহুমাত্রিক ব্যবহারের উপকরণে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ফেসবুকে পেজ খোলার মাধ্যমে নিজেদের প্রচারকার্য চালাচ্ছেন অনেকে। ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন এমনকি কেনা-বেচার ক্ষেত্রেও এ মাধ্যমটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ফেসবুকে ইভেন্ট খোলার মাধ্যমে সহজেই কোনো আয়োজনের খবর পৌঁছে দেওয়া যায় মানুষের মাঝে। ফেসবুক ব্যবহার করে দেশে দেশে রচিত হয়েছে বড় বড় আন্দোলনের প্রেক্ষাপট। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সূচনাও ঘটেছিল ফেসবুককে কেন্দ্র করে। এককথায় ফেসবুক আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে নিবিড়ভাবে। তবে ফেসবুকের কিছু অপপ্রয়োগও লক্ষণীয়। ছাত্রছাত্রীরা ফেসবুকের আকর্ষণে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে। নষ্ট করছে অমূল্য সময়। অনেকেই হয়ে পড়ছে অসামাজিক ও সংকীর্ণমনা। সাইবার অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে অপরাধীরা ফেসবুককে ব্যবহার করছে। তাই ফেসবুকের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সুফল আদায়ে সবার সচেতন থাকা উচিত।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *