আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন, হলে প্রয়োজন“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন, হলে প্রয়োজন
মূলভাব: মানুষের জীবনে বিদ্যা ও ধন দুটোরই খুব প্রয়োজন। কিন্তু শুধু অর্জন করার মধ্যেই এ দুটোর সার্থকতা সীমাবদ্ধ নয়।
সম্প্রসারিত ভাব : চলমান জীবন-প্রবাহে কাজে লাগাতে না পারলে অর্জিত বিদ্যা হয়ে পড়ে অকার্যকর। আবার অর্জিত ধন-সম্পত্তি যদি প্রয়োজনের সময় কাজে না লাগে তবে তা অর্জন করাই বৃথা ।মানুষের জীবনে বিদ্যাশিক্ষা ও ধন-সম্পত্তি অর্জনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিদ্যা অর্জন করতে হলে মানুষকে পরিশ্রম করতে হয়, সাধনা করতে হয় । কিন্তু অর্জিত বিদ্যা যদি মানবকল্যাণে না লাগে, তবে সেই পরিশ্রম সার্থক হয় না। । অর্জিত বিদ্যার দ্বারা আগামী প্রজন্মের জন্যে সুন্দর পৃথিবী গড়ার কাজে নিয়োজিত হলে তবেই বিদ্যা অর্জন সার্থক হয়। বিদ্যা অর্জনের মতো ধন উপার্জনের জন্যেও মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি বিপুল অর্থবিত্তকে প্রয়োজনের সময় নিজের বা অন্যের কাজে ও জগতের কল্যাণে ব্যবহার করতে না পারে, তবে সে অর্থ- সম্পদ মানুষের কাছে হয়ে পড়ে অর্থহীন। সুতরাং সার্থক ও সুন্দর জীবনের জন্যে বাস্তবের সঙ্গে বিদ্যার সংযোগ করা প্রয়োজন । আর ধন-সম্পত্তি নিজের আয়ত্তে রাখা প্রয়োজন, যেন প্রয়োজনের সময় তা নিজের কাজে লাগানো যায় বা তা দ্বারা অন্যকে সাহায্য করা যায়। বিদ্যা ও ধনের সার্থকতা নির্ভর করে মানুষের প্রয়োজন মেটানোর ওপর। মানুষের প্রয়োজনে না লাগলে এ দুটোর কোনো মূল্যই নেই।
মন্তব্য : তাই বিদ্যা ও ধনকে প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে অর্জন করে নিজের ও অপরের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।