আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
ভূমিকম্প বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে যথেষ্ট আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিককালে ঘন ঘন ছোটোখাটো ভূমিকম্প অনুভূত হওয়া এবং বড়ো ধরনের ভূমিকম্পের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মহলের সতর্কবাণী এমন • পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ। পৃথিবীর ভূ-ত্বক বৃহৎ আকারের খণ্ড খণ্ড প্লেট বা ভূ-খণ্ড নিয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলো স্থির নয়। ভূ-ত্বকের অভ্যন্তরে জমা শক্তির বিভিন্ন মাত্রায় উদ্গিরণের ফলে এ প্লেটগুলো প্রতিনিয়ত চলমান থাকে । বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে মোট ৮টি ভূ-চ্যুতি এলাকা ক্রিয়াশীল । এ স্থানগুলোর কারণেই বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি খুব বেশি। এছাড়া ইন্ডিয়া-ইউরেশিয়া-বার্মা টেকটোনিক প্লেটের সীমান্তবর্তী এলাকার খুব কাছে আমাদের দেশের অবস্থান। হিমালয় পর্বতের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এটি বন্ধ হয়ে আছে। ফলে এর নিচে ক্রমাগত শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে। সেই শক্তি কোনোদিন যদি একবারে নির্গত হয় তবে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটবে। বাংলাদেশে হওয়া ভূমিকম্পের তথ্য ও উপাত্তগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৩০ বছরে দেশে ভূমিকম্পের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের জন্যে অশনিসংকেত। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণও বহুবছর ধরে পর্যাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলেছেন— যেকোনো সময় এ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্ক্ষা রয়েছে। ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার পূর্বাভাস দেওয়ার কোনো উপায় এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। কয়েক সেকেন্ডের ভেতর এটি একটি বিশাল এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে পারে । বাংলাদেশে জনসংখ্যার হার অত্যন্ত বেশি এবং শহরাঞ্চলে অপরিকল্পিত আবাসনের কারণে ভূমিকম্পে ধ্বংসের মাত্রা বেড়ে যাবে অনেক গুণ। এই মাত্রাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। ভূমিকম্পের মুখোমুখি হলে কী করলে জীবন বাঁচতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ দালানগুলো চিহ্নিত করে তা ভেঙে ফেলা এবং নতুন দালান নির্মাণের সময় তা ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ভূমিকম্পপরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হবে। আতঙ্কিত না হয়ে ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্যে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে ক্ষয়ক্ষতির হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।