এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি,রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি
এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি,রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি

ভাবসম্প্রসারণঃ এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি,রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি,রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি “। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি,

রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি

মূলভাব: পৃথিবীতে সম্পদশালীর সম্পদের প্রতি তৃষ্ণা দুর্নিবার ও অসীম। চির-অতৃপ্ত এ তৃষ্ণাকে চরিতার্থ করার প্রয়াসে তারা অনাহারী ও নিরন্ন মানুষের সম্পদকেও কেড়ে নিতে কুণ্ঠিত হয় না ।

সম্প্রসারিত ভাব : ধনীদের দুর্নিবার সম্পদ-ক্ষুধা কোনোদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। নিজেদের সম্পদের সংগ্রহকে বাড়িয়ে তোলাই যেন তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। সমাজের দুর্বল অংশকে শোষণ করেই দিনের পর দিন তাদের ঐশ্বর্য স্ফীত হয়ে উঠতে থাকে। অন্যদিকে, বিশ্বের বিত্তহীনরা তাদের শোষণে সর্বস্বান্ত হয়ে সাজে পথের ভিক্ষুক। বিত্তবানের এই অতিরিক্ত বিত্ত- সংগ্রহের প্রবণতার কারণে সমাজে অনিবার্য হয়ে ওঠে নানা অশান্তি, সংঘাত এবং সংগ্রাম। পৃথিবীতে যারা পর্যাপ্ত সম্পদের মালিক, যাদের ধনৈশ্বর্য অফুরন্ত, তাদের সম্পদ-তৃষ্ণা কোনোদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। তারা যত পায়, তত চায়। বিবেকহীন, হৃদয়হীন মানুষেরা নানাভাবে সামাজিক সম্পদ অপহরণ করে দিনের পর দিন নিজেদের তথাকথিত মর্যাদার আসন উঁচু করে চলে। অপরিসীম ধনতৃষ্ণা ক্রমাগত স্ফীতকায় হতে হতে একদিন দরিদ্রের সর্বশেষ সম্বল ছিনিয়ে নিতেও কুণ্ঠিত হয় না। এভাবে পৃথিবীর দরিদ্ররা তাদের সবকিছু হারিয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পথের ভিখারিতে পরিণত হয়। তারা বুঝতে চায় না যে এ সমাজে দরিদ্রেরও বাঁচার অধিকার আছে। সামাজিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে ধনিকের উচিত অতিরিক্ত ধন-সংগ্রহ ও ধন-সঞ্চয় থেকে বিরত হওয়া । আজ পৃথিবীতে নবযুগ এলেও বৈষম্য কমেনি।

See also  অনুচ্ছেদঃ কালবৈশাখী

মন্তব্য : বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের সাধনাই আজ হলো শোষণ এবং সামাজিক অবিচার দূর করে সামাজিক সম্পদের ন্যায়সঙ্গত সমবণ্টনের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তির এক সুস্থ পরিমণ্ডল সৃষ্টি করা। ধনী-গরিব মিলেমিশে পৃথিবীর সীমিত সম্পদ ভোগ করার মধ্যেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *