আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ
মূলভাব: সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা প্রতিটি মানুষের। এমনকি মৃত্যুপথযাত্রী মানুষও জীবনের আশা একেবারে পরিত্যাগ করে না।
সম্প্রসারিত ভাব : ক্ষণস্থায়ী জীবনটাকে মানুষ অনেক আশা নিয়ে চিরদিন ধরে রাখতে চায় । পৃথিবীতে মানুষ যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন তার চাওয়া-পাওয়ার শেষ থাকে না। প্রতিনিয়ত সে ব্যস্ত থাকে ধন- সম্পদ, যশ-খ্যাতি ও প্রভাব-প্রতিপত্তি লাভের দুর্বার আকাঙ্ক্ষা পূরণে। কারণ, পৃথিবীতে মানুষের আকাঙ্ক্ষা অসীম । একটি চাহিদা পূরণ হলে অন্য একটি চাহিদা পূরণের জন্যে সে অস্থির হয়ে ওঠে। এসব কিছুর মূলেই রয়েছে আশা। আশাই মানুষকে তাড়িত করে, বাঁচিয়ে রাখে। মানুষ আশা নিয়েই বেঁচে থাকে, সংগ্রাম করে । ব্যর্থতা এলেও আশার কারণে মানুষ হতাশায় ভোগে না। বরং আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে শক্ত হাতে হাল ধরে। অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত একজন মানুষের দেহে প্রাণ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত তার আশারও শেষ নেই। কারণ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষ প্রত্যাশা করে বৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার। তাই তো কবি বলেছেন ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে/ মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’ অর্থাৎ সুন্দর ভুবনে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার দুর্বার আকাঙ্ক্ষা সব মানুষের । শতায়ু লাভ করা ব্যক্তিও মৃত্যু কামনা করে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে আরও কিছুদিন বাঁচার ইচ্ছা পোষণ করে। তাই দুঃখকষ্ট ও পরাজয়ের মাঝে আশাই মানুষের একমাত্র অবলম্বন। মানুষ আশার ওপর ভর করেই বেঁচে আছে ।
মন্তব্য : আশাই মানুষকে প্রেরণা দেয়, অনুপ্রাণিত করে, বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। আশাই মানুষকে জীবন-সংগ্রামের পথে পরিচালিত করে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।