আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো
মূলভাব: বংশ পরিচয় মানুষের সার্বিক ও চূড়ান্ত পরিচয় নয়। কারণ ভালো বংশে জন্ম নিয়েও মানুষ অসৎ ও হীন কাজ করে সেখানে কালিমা লেপন করতে পারে। অন্যদিকে নীচু বংশে জন্ম নিয়েও অনেকে সেরা মানুষ হতে পারেন।
সম্প্রসারিত ভাব : বংশ পরিচয়ে অনেক সময় মানুষ পরিচিত হয়। সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা বংশের আভিজাত্যে নিজেদের সম্ভ্রান্ত মনে করে। বংশমর্যাদার দোহাই দিয়ে তারা সমাজে বিশেষ মর্যাদা দাবি করে। কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা নিতান্তই হাস্যকর ও বাস্তবতা বিবর্জিত। সমাজের নীচুতলায় জন্ম নিয়েও মানুষ তার কর্ম ও সাধনার মাধ্যমে বড় হতে পারে। মানুষের কর্ম পরিচয়ই তার প্রকৃত পরিচয় আর জন্ম পরিচয় নিতান্তই তুচ্ছ বিষয় । প্রকৃতপক্ষে সমাজের কল্যাণে ও অগ্রগতিতে যে যতটুকু ভূমিকা পালন করে সে ততোটুকুই মর্যাদা পায়। এ ক্ষেত্রে বংশমর্যাদা কখনোই বিবেচনার মানদণ্ড নয় । কর্মেই মানুষের আসল পরিচয়। পৃথিবীতে এমন অনেক মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন যারা নীচু বংশে জন্মগ্রহণ করেও নিজেদের কর্ম ও সাধনার বলে জগতে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন। বংশপরিচয় তাঁদের কর্মপরিচয়ের কাছে নতি স্বীকার করেছে। বস্তুত, মানুষের জন্ম যেখানেই হোক না কেন তার কর্ম যদি মহৎ হয় তবে তিনি সমাজে বরণীয় হন।
মন্তব্য : জন্মের ওপর মানুষের কোনো হাত নেই। কর্মের দ্বারাই মানুষ সকলের হৃদয়ে স্থান করে নেয়। তাই জন্ম নয় কর্মের পরিচয়েই মানুষকে মূল্যায়ন করা উচিত।।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।