আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “শীতের সকাল“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
শীতের সকাল
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ছয় ঋতুর মধ্যে শীত একটি অন্যতম ঋতু। হেমন্তের পরেই আসে শীতকাল। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে পৌষ ও মাঘ— এই দুইমাস শীতকাল । শীতকাল সাধারণত শুষ্ক থাকে। রাত হয় দীর্ঘ এবং দিন হয় ছোটো। তাই দীর্ঘ রাতের পর অপেক্ষা করতে হয় শীতের সকালের। কুয়াশার আস্তর ভেদ করে সকালের সূর্য উকি দেয় বেশ দেরিতে। কোনো কোনো দিন তার দেখাই পাওয়া যায় না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। ঘরে ঘরে তৈরি হয় ভাঁপাপিঠা। গ্রামে শীতের সকাল শুরু হয় একটু ভিন্ন আমেজে। মানুষের মঝে দেখা যায় কিঞ্চিৎ কর্ম-বিমুখতা। খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে অনেকেই আগুন পোহাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গরম কাপড় গায়ে মানুষ ঘুরে বেড়ায়। শীতের সকাল গরিবদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় তারা শীতকষ্টে ভোগে। শহরে শীতের সকালে ব্যালকনিতে বসে অনেককে রোদ পোহাতে দেখা যায়। কেউবা গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে খবরের কাগজ পড়ে। একটু পরেই সবাই নানারকম কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই দূরে কোথাও বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আবার দল বেঁধে অনেকেই বনভোজনে বের হয়। শীতের সকালে আলস্য থাকলেও তা উপভোগ করার মতো বিষয়। শীতের সকাল সত্যিই অনাবিল সৌন্দর্যের এক পরম উৎস।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।