আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “শিষ্টাচার“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
শিষ্টাচার
শিষ্টাচার অর্থ ভদ্র আচরণ, ভালো ব্যবহার। আত্মীয়-অনাত্মীয়, পরিচিত-অপরিচিত সকলের সঙ্গে প্রীতিপূর্ণ, রুচিসম্মত ব্যবহারই শিষ্টাচার । ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ, পরিমার্জিত ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনকারী ব্যক্তিমাত্রই শিষ্টাচারে গুণান্বিত ব্যক্তি। যে ব্যক্তির ব্যবহার ভালো তাকে সবাই পছন্দ করে। আর ব্যবহার ভালো না হলে তাকে কেউ পছন্দ করে না। জীবনে চলার পথে শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। শিষ্টাচারের ফলে সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এই শিষ্টাচার লাভের ক্ষেত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করে পরিবার, বিদ্যালয় ইত্যাদি। শিশুকাল থেকেই একটু একটু করে শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়ার মধ্য দিয়ে মানবশিশু শিষ্টাচারী হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শিষ্টাচারের শিক্ষা লাভ করে। শিষ্টাচারের ছোঁয়াতে একজন মানুষ হয়ে ওঠে নম্র ও ভদ্র। শিষ্টাচারী মানুষের মার্জিত আচরণ সবাইকে মুগ্ধ করে। মানবজীবনের সার্বিক কল্যাণে শিষ্টাচারের স্থান অতি উচ্চে। এই মহৎ গুণ মানুষকে সমাজের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করে । তাই আমাদেরকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে শিষ্টাচারী হতে হবে ।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।