আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই
মূলভাব: মানবজীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কর্তব্য পালন। কর্তব্যের স্থান সকল জৈবিক সম্পর্ক ও সাধের ওপরে।
সম্প্রসারিত ভাব : পৃথিবীতে মানুষের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। এ কর্তব্যের ধারা চলে জীবনভর। প্রত্যেক মানুষের থাকে বিশেষ পেশা। এখানেও রয়েছে তার নির্দিষ্ট দায়িত্ব-কর্তব্য। তা ছাড়া, মানুষের অনেক পারিবারিক ও সামাজিক কর্তব্যও রয়েছে; রয়েছে রাষ্ট্রীয় কর্তব্য। এভাবে নানামুখী কর্তব্য দ্বারাই মানুষ পরিবেষ্টিত। আর এসব কর্তব্য যথাযথভাবে পালনের মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত। মানুষের কর্তব্য পালনের এ পথ সরলরৈখিক নয়। এ পথে রয়েছে নানা বাধা-বিপত্তি। কখনো এতে জড়িয়ে থাকে ব্যক্তিস্বার্থ, কখনো অপরের স্বার্থের বিরুদ্ধে কর্তব্য পালন করতে হয়। অন্যের স্বার্থের বিরুদ্ধে কর্তব্য পালনে অনেক বাধা আসে। কর্তব্যের পথে বড় বাধা হচ্ছে মানবিক সম্পর্কের বিষয়টি। বন্ধু-বান্ধবের স্বার্থ যেমন বন্ধুকে দেখতে হয় তেমনি ভাইয়ের স্বার্থও দেখতে হয় ভাইকে। কিন্তু প্রিয়জনের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে কর্তব্যে অবহেলা কেবল দুর্বলচিত্ত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের পক্ষেই সম্ভব। কর্তব্যপরায়ণ মানুষ আপনজনের স্বার্থকে উপেক্ষা করে কর্তব্য পালনের ওপরেই গুরুত্ব দেয়। এখানে পরিস্ফুট হয় মানুষের চরিত্র। সত্যনিষ্ঠ ন্যায়বান মানুষ কখনোই কর্তব্যকে বিসর্জন দেয় না।
মন্তব্য : কাজের মাঝেই মানবজীবনের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায় । তাই সব ধরনের স্বার্থকে অগ্রাহ্য করে নিজের কর্তব্য পালনে অটল থাকতে হবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।