দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য
| |

ভাবসম্প্রসারণঃ দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য

মূলভাব: বিদ্যার চেয়েও চরিত্র অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো শিক্ষিত লোক যদি চরিত্রহীন হয়, তবে তার বঙ্গে অবশ্যই পরিহার করা উচিত। কারণ, তার কাছ থেকে উপকৃত হবার চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বরং বেশি।

সম্প্রসারিত ভাব : বিদ্যা অমূল্য ধন। বিদ্বান ব্যক্তি সবার সম্মানের পাত্র। কিন্তু বিদ্বান লোক সৎ না হলে তার সান্নিধ্য কখনোই কাম্য নয় । এসব মানুষ নৈতিক চরিত্রে দুর্বল । এদের স্বভাব অন্যের ক্ষতি করা। সমাজ, দেশ বা জাতি কেউ এদের দ্বারা উপকৃত হয় না। এরা সমাজের কলঙ্ক। কোনো কোনো দুর্জন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় বটে কিন্তু সার্টিফিকেট-সর্বস্ব শিক্ষা এদের চরিত্রে ও মানসিকতায় কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। এরা শিক্ষিত হয়ে চাতুরি ও ছলনায় কূটকৌশলী হয়ে সহজেই মানুষকে প্রতারিত করে। এ কথা সত্য যে, বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে। বিদ্যা মানবজীবনের সফলতার সহায়ক। বিদ্বানের সংস্পর্শে এলে জ্ঞানের আলোয় মন আলোকিত হয়। কিন্তু বিদ্বান ব্যক্তি যদি চরিত্রহীন হয়, তবে তার বিদ্যার কোনো মূল্য থাকে না। নিজের স্বার্থ বা অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সে যেকোনো কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে। তাই তার সঙ্গ এড়িয়ে চলা উচিত।

মন্তব্য : চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যা লাভ করে জীবনের কোনো কল্যাণ সাধন করা যায় না। তাই দুর্জন যদি বিদ্বানও হয়, তবু তার সান্নিধ্য ও সংশ্রব ত্যাগ করাই মঙ্গল।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

See also  অনুচ্ছেদঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *