আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ
মূলভাব: মানুষের ব্যক্তিগত গুণাবলির বিকাশে তার চারপাশের মেলামেশার পরিবেশ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ যাদের সঙ্গ ও সাহচর্যে বেড়ে ওঠে, তারা সৎ হলে মানুষের চরিত্র সুন্দর হয়। আর সঙ্গ অসৎ হলে মানুষও হয়ে ওঠে অসৎ। মানুষের পরিচয় ফুটে ওঠে তার চারিত্রিক গুণাবলির মাধ্যমে । সুন্দর, সৎ ও রুচিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে চাই অনুকূল পরিবেশ। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ নিঃসঙ্গভাবে বাস করতে পারে না। সবসময় সে সঙ্গী চায়। সঙ্গী নির্বাচনের ওপরই তার মানস গঠন, ক্রিয়া-কর্ম, জীবনযাত্রা ইত্যাদির ধরন নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে সৎ সঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। সৎ সঙ্গকে এক অর্থে পরশমণির সঙ্গে তুলনা করা চলে। পরশমণির স্পর্শে যেমন লোহা স্বর্ণের মতো মূল্যবান হয়ে ওঠে, তেমনি সৎ সঙ্গ মানুষকে মহৎ গুণাবলি অর্জনে সহায়তা করে। অন্যদিকে অসৎ সঙ্গীর কুপরামর্শে মানুষ কুকর্মে লিপ্ত হয়। এর ফলে সে সমাজজীবনে সম্মান ও শ্রদ্ধা হারায়। অসৎ পথে পরিচালিত হয়ে সে এক সময় সর্বনাশের দিকে এগিয়ে যায়। তাই সঙ্গী নির্বাচনে সর্বাবস্থায় সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। সৎ সঙ্গীর সাহচর্য জীবনকে করে তোলে সুখী ও আনন্দময়।
মন্তব্য : অসৎ সঙ্গীর কবলে পড়ে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। তাই আনন্দময় জীবন রচনার পাশাপাশি জীবনকে সার্থক ও মহৎ করে গড়ে তুলতে হলে সৎ মানুষের সংস্পর্শে থাকা দরকার।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।