আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “চরিত্র“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
চরিত্র
চরিত্র মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। মানবজীবনে কথায় ও কাজে, চিন্তায় ও আচরণে যে ভাব লক্ষ করা যায় তাকেই বলা হয় চরিত্র। মূলত বাহ্যিক আচরণেই মানুষের ভেতরের চরিত্র প্রকাশ পায়। অন্যদিকে, যার দ্বারা মানুষের ক্ষতি হয় কল্যাণে ব্রতী, সে সমাজে এবং অন্যায় পথে পা বাড়াতে দ্বিধা করে না, সে দুশ্চরিত্র বা চরিত্রহীন হিসেবে চিহ্নিত হয়। চরিত্র মানবজীবনের মুকুটস্বরূপ । এমনকি এটি বিদ্যা-বুদ্ধি, মান-মর্যাদার তুলনায়ও শ্রেষ্ঠ। চরিত্রের শক্তিতে মানুষ নীতিপ্রবণ ও মানবিক জীবন পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। তাই চরিত্র মানবজীবনে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে, জীবনকে সার্থক করে তোলে চরিত্রবান ব্যক্তির মাঝে সততা, সহানুভূতি, সহনশীলতা, কর্তব্যপরায়ণতা, গুরুজনে ভক্তি, সংযম ইত্যাদি মহৎ গুণের সমাবেশ লক্ষ করা যায়। চরিত্রবান ব্যক্তি সবসময় সত্যের পথে অটল থাকেন, অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন । এ কারণে চরিত্রবান ব্যক্তি হন সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। অন্যদিকে, চরিত্রহীন ব্যক্তি যেকোনো হীন কাজে জড়িয়ে পড়তে দ্বিধা করে না। তাই তাকে কেউ বিশ্বাস করে না; ভালোবাসে না। পৃথিবীতে যাঁরা মহৎ ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তাঁদের সকলেই সুন্দর চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। জীবনকে সার্থক করে তোলার জন্যে সুন্দর চরিত্র গঠনের বিকল্প নেই। ছাত্রজীবনই চরিত্র গঠনের শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময় থেকেই বিভিন্ন নৈতিক গুণাবলির চর্চায় মনোযোগী হতে হবে। সচ্চরিত্রের শক্তিতেই আমরা আলোকিত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।