আন্তর্জাতিক নারী দিবস
আন্তর্জাতিক নারী দিবস

অনুচ্ছেদঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “আন্তর্জাতিক নারী দিবস“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

নারী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন ৮ই মার্চ। দিনটি সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমর্থন প্রদানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারী বরাবরই নিপীড়িত, নিষ্পেষিত। পুরুষের অধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে নারীরা বহু বছর ধরেই সংগ্রাম করে আসছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এ আন্দোলনের সূচনা ঘটে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সুচ কারখানার নারীরা মজুরি, উপযুক্ত কাজের পরিবেশ ও কর্মঘণ্টা কমানোর দাবিতে সংগ্রামের ডাক দেয়। এই নারীরা পরবর্তীকালে গঠন করে ‘মহিলা শ্রমিক ইউনিয়ন’। দিনটি ছিল ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ। আবার ১৯০৮ সালের ৮ই মার্চ নিউইয়র্কের পোশাক শ্রমিকরা নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং ১৯১০ সালে এই দাবি স্বীকৃত হয়। ৮ই মার্চ এই দুই সংগ্রামের সূচনা দিবস হওয়ায় দিনটিকে ‘নারী দিবস’ হিসেবে পালনের জন্যে নির্বাচন করা হয়। ১৯১৪ সাল থেকেই দিনর পালিত হয়ে আসছে, যা জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায় ১৯৭৫ সালে। শ্রমিক নারীদের সেই আন্দোলনের সঙ্গেহ বর্তমানে সর্বস্তরের নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামের সম্পর্ক গভীরভাবে রচিত হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালিত হয়। এই দিনে নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে সচে হয়। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা লাভ করে। এর পাশাপাশি সভ্যতা বিনির্মাণে নারীখে অবদানের কথা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে মনে করিয়ে দেয় এ দিবস। বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে নারীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্যে তাদের সম্মান ও সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়াই আন্তর্জাতিক দিবসের মূল চেতনা ।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ অর্থই অনর্থের মূল

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *