মে দিবস
মে দিবস

অনুচ্ছেদঃ মে দিবস

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “মে দিবস“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

মে দিবস

মে দিবস শ্রমজীবী মানুষদের বিজয়ের দিন। শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার দিন। এ দিবসের ইতিহাস খেটে খাওয়া মানুষের রক্তে রঞ্জিত। ১৮৮৬ সালের ১লা মে আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার দাবিতে শ্রমিক শ্রেণি যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মঘটের ডাক দেয়। শিকাগো শহরে জড়ো হয় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। শাসকদল এই ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক সমাবেশ দেখে পিছু হটে। ব্যাপক এই আন্দোলন চূড়ান্তরূপ লাভ করে ৩রা ও ৪ঠা মে। আন্দোলন স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্যে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায় । এর ফলে ৩রা মে প্রাণ হারান ছয়জন নিরস্ত্র শ্রমিক। ৪ঠা মে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন আরও কয়েকজন। গ্রেফতার করা হয় অগণিত শ্রমিককে। প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ছয়জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। এ খবর শ্রমিকদের কানে পৌঁছলে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারাবিশ্বের মেহনতি মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৮৯ সালের জুলাই মাসে ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক কংগ্রেসের। এখানে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮৯০ সালের ১লা মে থেকে পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ১লা মে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। মে দিবস পৃথিবীর মেহনতি মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন। শ্রেণিবৈষম্য ও পুঁজিবাদী শ্রেণির শোষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার দিন। পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এ দিবসটি যথাযোগ্য শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের সাথে পালিত হয়। সেদিনের শ্রমিকদের মহান আত্মত্যাগের কারণে বর্তমানে শ্রমিকরা অনেক সুফল ভোগ করছে। তাই মে দিবসে সেই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদিত হয়। মে দিবস শ্রমিকদের মনে আত্মসচেতনতার অনুভব সৃষ্টি করে। নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়। শোষণমুক্ত ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে মে দিবসের সংগ্রামী চেতনা আমাদের পথ দেখায় ।

See also  ভাবসম্প্রসারণঃ মিথ্যা শুনিনি ভাই, এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির কাবা নাই

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *