আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ শেয়ার করব “জাতীয় শোক দিবস“। এই অনুচ্ছেদটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই অনুচ্ছেদটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
জাতীয় শোক দিবস
জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বেদনাবহ অধ্যায়। এ দিবসের ইতিহাস এক রক্তাক্ত স্মৃতিকে ধারণ করে আছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই এ দিনটি আমাদের জাতীয় শোক দিবস । জাতীয় শোক দিবসে বাঙালির হৃদয় বেদনাবিধুর হয়ে পড়ে। ১৫ই আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করে। একাত্তরে পরাজিত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির হাতে চলে যায় রাষ্ট্রক্ষমতা। গোটা সমাজব্যবস্থা এক দীর্ঘস্থায়ী ভাঙনের মুখে পড়ে। কেবল ব্যক্তি মুজিব নন, একটি গোটা রাজনৈতিক দর্শনকে হত্যা করার অশুভ তৎপরতা চালানো হয় । সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর এর বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩ বছর মামলা চলার পর ১৫ জনের ফাঁসির আদেশ হয়। ২০১০ সালে পাঁচ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে এ কলঙ্ক থেকে গোটা জাতির দায়মুক্তি ঘটে। বর্তমানে গভীর ভাবগাম্ভীর্য ও শ্রদ্ধার সাথে প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। শোকার্ত বাঙালি ধারণ করে কালো ব্যাজ। অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা। জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর ঢাকার বাসভবন ও টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত মাজারে মানুষের ঢল নামে। সে দিনের দুঃসহ স্মৃতি এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। জাতীয় শোক দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দেশের জন্যে বঙ্গবন্ধুর মহান আত্মত্যাগের কথা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করলেই জাতীয় শোক দিবস সঠিক মর্যাদা পাবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে অনুচ্ছেদ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই অনুচ্ছেদ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।