পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

ভাবসম্প্রসারণঃ পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

মূলভাব: সৌভাগ্য অনায়াসলব্ধ নয়, তা অর্জনের একমাত্র পথ হলো পরিশ্রম করা। অর্থাৎ পরিশ্রমই সৌভাগ্যের জন্মদাত্রী মা জন্ম দেন সন্তানের ।

সম্প্রসারিত ভাব : অনেক কষ্ট করে যত্ন নিয়ে সন্তানকে লালন-পালন করেন তিনি। মায়ের স্নেহে ও পরিচর্যায় সন্তান বড় হয়ে ওঠে। তারপর একদিন হয়ে ওঠে সার্থক মানুষ। সন্তানের জন্ম ও জীবন যেমন মায়ের ওপর নির্ভরশীল, তেমনি মানুষের জীবনের সাফল্য ও সৌভাগ্য নির্ভর করে পরিশ্রমের ওপর। সৌভাগ্য হঠাৎ আকাশ থেকে পড়ে না। জীবনে সৌভাগ্য অর্জনের জন্যে দীর্ঘকালের প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম ও নিরন্তর সাধনার দরকার হয়। আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস সুখ-দুঃখ, বিপত্তি-উন্নতি সবকিছুই ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাদের ধারণা, স্রষ্টা যদি ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেন, তবে জীর্ণ কুটিরের মালিকও রাতারাতি ধনী হতে পারে। কিন্তু এ ধারণা বাস্তব জীবনের সাথে মেলে না। আপাতদৃষ্টিতে যাকে সৌভাগ্য বলে মনে হয়, অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে তা অর্জিত হয়েছে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। বস্তুত কর্মহীনতা ব্যক্তিজীবনে কেবল দুর্ভাগ্যই বয়ে আনে। অন্যদিকে, শ্রমই মানবজীবনে সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। যে জাতি পরিশ্রমী নয়, সে জাতি উন্নতি ও অগ্রগতির ধারা থেকে ছিটকে পড়ে । পরিশ্রমী জাতি এগিয়ে যায় সভ্যতার সু-উচ্চ শিখরে। উন্নত জাতির ইতিহাস পড়লে এ সত্যই উদ্ভাসিত হয়। কর্মের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিই জীবনে সফল হতে পারে। পরিশ্রমই কেবল ব্যক্তিজীবনকে সুন্দর করতে পারে। বস্তুত, জীবনে উন্নতি করতে হলে এবং জীবনকে সুখী করতে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

মন্তব্য : পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষ তার ভাগ্যকে গড়ে নিতে পারে। তাই সৌভাগ্যের আশায় বসে না থেকে কর্মমুখর জীবনযাপন করা উচিত

See also  অনুচ্ছেদঃ কালবৈশাখী

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *