আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ চরিত্র মানবজীবনের মুকুটস্বরূপ“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
চরিত্র মানবজীবনের মুকুটস্বরূপ
মূলভাব: মানুষকে বিচার করা হয় তার চরিত্র দিয়ে। রাজার মাথায় মুকুট দেখে যেমন রাজাকে চেনা যায়, তেমনই মানুষের চরিত্র বিচার করে মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
সম্প্রসারিত ভাব : ফুলের সম্পদ যেমন তার সৌরভ ও সৌন্দর্য, তেমনি মানবজীবনের সম্পদ তার চরিত্র। মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট গুণাবলির আচরণ এবং কর্মের মধ্যে বাস্তবায়িত রূপ হলো চরিত্র। জীবনের সাথে এর সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। চরিত্র পরশমণির মতো, যার ছোঁয়ায় মন্দ হতে পারে ভালো। চরিত্রশক্তিতে বলীয়ান না হলে মানুষ সহজেই হীন লালসার ফাঁদে পড়ে। অপকর্মে লিপ্ত হয়। ফলে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দেয়। নীতিবান আদর্শ চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিত্বের অভাবে উন্নত জাতির জীবনও কলঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনৈতিকতার কাছে শিক্ষিত সমাজের মূল্যবোধও হয়ে পড়ে মূল্যহীন। পক্ষান্তরে, চরিত্রবান মানুষ শুধু মহত্ত্বই অর্জন করেন না; বরং তিনি হয়ে থাকেন চিরস্মরণীয়। যুগে যুগে বহু মনীষী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাগুরু তাঁদের দৃঢ় চরিত্রগুণের কারণে মানবহৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। মানুষের অনেক ধনসম্পদ, বিদ্যা থাকতে পারে। কিন্তু যদি মানবিক গুণাবলি না থাকে, তবে সে সমাজে শ্রদ্ধা ও মর্যাদা পায় না। লোকে তাকে ভালোবাসেন না; বরং ঘৃণা করে। অন্যদিকে চরিত্রবান মানুষকে সবাই ভালোবাসে, সম্মান করে।
মন্তব্য : চরিত্র জীবনের মুকুটস্বরূপ। মানুষের জীবনে চরিত্র মহামূল্যবান সম্পদ। মহৎ চরিত্র অর্জনই মানবজীবনের সাধনা হওয়া উচিত।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।